‍পটুয়াখালী দুমকিতে ডাক্তারের হাতে রোগী লাঞ্ছিত
ওবায়দুর রহমান (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে ডাক্তার কে ‘স্যার’ না বলে ভাই সম্মোধন করায় ডাক্তারের হাতে এক রোগী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ ডাক্তারের বিরুদ্ধে।

রোববার দুপুরে উপজেলার মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে এমন ঘটনাটি ঘটে।

লাঞ্ছিতের শিকার ওই ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে।
লাঞ্ছিতের শিকার ওই ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেল সমালোচনার ঝড় বইছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ইয়াসমিন বাহার। দুদিন আগে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি দুমকিতে বেড়াতে আসেন। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান চিকিৎসা নিতে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আলট্রাসোনোগ্রম করতে বললে তাত্ক্ষণিক তিনি (ইয়াসমিন বাহার) উপজেলার মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে যান। পরে রিসিপশনে গেলে ডাক্তার নেই বলে তাকে কিছুক্ষণ বসতে বলেন। আধাঘণ্টা পর রিসিপশনে কাউকে দেখতে না পেয়ে ডাক্তারের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে দুবার ভাই বলে ডাক দিয়ে ডাক্তার আসছে কিনা জিজ্ঞেস করায় ডাক্তার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন এবং বলেন,  আপনার সাহস কীভাবে হলো একজন ডাক্তারকে ‘স্যার’ না বলে ভাই বলে ডাকার। এ ছাড়া তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এবং ঘাড় ধরে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরবর্তী সময় ইয়াসমিন বাহার ক্লিনিক থেকে কান্না করতে করতে বেরিয়ে আসেন এবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত ডাক্তার নাসির উদ্দীন। তিনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক। অবসর সময়ে তিনি বাইরে চেম্বার করেন।

অভিযুক্ত চিকিৎসক নাসির উদ্দীন বলেন, সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন আমার বিরুদ্ধে। বরং সে আমাকে অনেক গালাগাল দিয়েছেন এবং আমি এখানের ডাক্তারও না। আমি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার অবসর সময়ে মাঝেমধ্যে এখানে চেম্বার করি। তা ছাড়া উনি আমার রোগীও না, তাকে শুধু আমি বলেছি— আমাকে কিছু না বলে আপনি রিসিপশনে গিয়ে কথা বলুন।

দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম বলেন, এ  বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#