টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে সেতু আছে সংযোগ সড়ক নেই ।

মৌসুমী তাজনীন মৌ, ধনবাড়ী,টাংগাইল প্রতিনিধিঃ-

ধনবাড়ীতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ধোপাখালী ও

ইসলামপুর গ্রামের বয়ে যাওয়া বংশাই নদীর উপর ত্রকটি সেতু নির্মাণ করা হয়।

সেতু নির্মাণ হলেও দুপাশের সংযোগ সড়ক নেই। এতে দুপাড়ের গ্রামবাসীদের যাতায়াত করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এর এক পাশে ধোপাখালী অন্য পাশে ইসলামপুর।

এমনকি যাতায়াতের জন্য কাঠের মই বেয়ে ব্রিজটি দিয়ে পার হতে হয়। মাটি থেকে প্রায় ৯-১০ ফুট উচ্চতায় সেতুতে মই লাগিয়ে ঝুঁকির্পূণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।

এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে মহিলা ও শিশুরা।

জানা যায়, সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় বাঁশের মই বেয়েই তারা মাথায় বা কাঁধে করে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে যাচ্ছেন।

তবে শুষ্ক মৌসুমে মই দিয়ে সেতু পার হওয়া গেলেও বর্ষাকালে পাড়া পাড়ের জন্য কলা গাছের ভেলা বা সাতার কাটা ছাড়া আর কোনো রুপাই

পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল কলেজ বা মাদ্ররাসা সব বন্ধ হয়ে যায়

সেতুর নির্মাণ হলেও সুফল পাচ্ছেন না ধোপাখালী ও যোদুনাথপুর ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০ গ্রামের মানুষ ।

স্থানীয় বাসিন্দা তসলিম উদ্দিন ,মতিউর রহমান , মহর আলী,

মোঃ শাইফিল ই্সলাম বলেন, ৫ বছর আগে সেতু নির্মাণ হলেও দুপাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় আমরা অনেক অসুবিধায় আছি।

ধোপাখালী ও যদুনাথপুর ইউনিয়ন দুটি কৃষি অঞ্চল। স্থানীয়দের প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত কৃষিপণ্য শাক-সবজি ও সকল ধরনের ফসল কৃষকেরা সেতু দিয়ে পার হয়ে ধোপাখালী বাজারে বিক্রি করতে আসেন।আমরা রাস্থা চাই ব্রিজ আছে সড়ক নেই রাস্থার দরকার বতমানে বর্ষাকাল কিছু দিন পুর চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে ।

এ বিষয়ে ধোপাখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আজহার আলী বলেন, আমি বিষয়টি বারবার ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে ধোপাখালীর চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বলেন, আমরা ব্রিজটির রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। যেন দ্রুত করা যায়। এলাকাবাসী রাস্তাটির জন্য ভোগান্তির মধ্যে আছে।

এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন সাগর জানান, সেতুটি এডিপি নির্মাণ করেছে। এখন আপাতত কোন বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ আসলে কাজ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন