মধুখালী, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ৷ গত ২১ শে আগস্ট জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের পূনাজ্ঞ কমিটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে নেতা কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ আছে ছাত্রদল সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু এবং সাধারণ সম্পাদক তানজীমুল হাসান কায়েস প্রকৃত ছাত্র, পরীক্ষিত, ত্যাগি নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে বিবাহিত, চাকুরিজীবী, স্কুল শিক্ষক, প্রবাসী, অছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠনে ভুমিকা পালন করেছেন। এমনও অভিযোগ আছে কমিটিতে কোনো জেষ্ঠতা মানা হয় নাই। কমিটি নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভিতরে চরম অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কমিটি প্রকাশিত হওয়ার পরের দিন ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করেন দুইজন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জনি সাদ্দাম এবং জহিরুল ইসলাম লিটন। কমিটি থেকে আরো অনেকে পদত্যাগ করতে পারেন এই বিষয় জোর গুণজন রয়েছে । কমিটিতে সিনিয়র জুনিয়ার সমন্বয় করা হয় নাই এবং ত্যাগি ও পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন জহিরুল ইসলাম লিটন । এই বিষয়ে  জহিরুল ইসলাম লিটন চন্দনা ২৪ কে বলেন, নবগঠিত ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের পুর্ণাজ্ঞ কমিটি নিয়ে দলের নেতা কর্মী কেউ সন্তুষ্টি না। কমিটির ভিতরে অনেকের নাম আছে যারা ছাত্রদলের রাজনীতি অনেক আগেই বাদ দিয়ে এখন ব্যবসা বানিজ্য, চাকরি, বউ সন্তান নিয়ে সংসার করছেন। কমিটিতে সিনিয়র জুনিয়ার সমন্বয় করা হয় নাই, প্রকৃত ছাত্রদের বাদ দিয়ে একাধিকবার বিবাহ করছে, স্কুল শিক্ষক, অনেক প্রবাসী কমিটির ভিতরে ডুকে পড়ছে, আমি আমার নীতি নৈতিকতার যাইগাহ থেকে মনে হয়েছে এই কমিটিতে আমার থাকা সমুচিন হবে না তাই পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলাম। এই বিষয়ে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনুর  মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার কোনো বক্তব্য পাাওয় যায়নি।