ফরিদপুরের মধুখালীতে পেঁয়াজের বীজ রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
মফিজুর রহমান মুবিন
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলায় পেঁয়াজের বীজ রোপণের কার্যক্রম শুরু করেছে কৃষকেরা। কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব-ইলাহী বলেন, এ বছর উপজেলায় ৩৫০০ হেক্টর জমিতে পেয়াজ চাষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৫০ জন কৃষককে সরকারি উদ্যোগে বিশ সরবরাহ করা হচ্ছে। “সরকারি উদ্যোগে আমরা কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করছি। পাশাপাশি চাষাবাদের পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছি।” তিনি আরও জানান, সরকার সার, কীটনাশক ও অন্যান্য চাষাবাদ উপকরণের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, যাতে কৃষকরা সমস্যায় না পড়ে।
উপজেলার কৃষকদের মধ্যে পেঁয়াজ চাষের আগ্রহ বেড়েছে, বিশেষ করে গত কয়েক বছরে পেঁয়াজের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়। কৃষকদের আশা, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলে দেশীয় উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে এবং এতে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবেন।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, “আমরা চাই সরকার পেঁয়াজের আমদানি সীমিত করুক, যাতে দেশীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য থেকে সঠিক দাম পায়।” এছাড়াও কৃষকরা সরকারের কাছে পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক ও জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন।
মধুখালী উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়, যা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করা হয়। তবে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি এবং আমদানি নির্ভরতার কারণে কৃষকেরা মাঝে মাঝে সংকটে পড়েন। কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারি সহায়তা ও প্রণোদনা দিলে এ সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে।