তারাগঞ্জে দায়সারাভাবে জাতীয় যুব দিবস পালন।
শহীদুল ইসলাম তারাগন্জ
রংপুরের তারাগঞ্জে দায়সারা ভাবে পালন করা হয়েছে জাতীয় যুব দিবস। যুব দিবসের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পায়নি উপজেলার অধিকাংশ নিবন্ধিত যুব সংগঠন । স্বেচ্ছাসেবী নেতাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ না করে হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে জাতীয় যুব দিবস দায়সারা ভাবে পালন করায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সচরাচর উপজেলা প্রশাসন তথা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আয়োজনে বিভিন্ন সভা সেমিনার কিংবা জাতীয় দিবসে নিবন্ধিত যুব সংগঠন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী পর্যায়ের নেতাকর্মি গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও র্যালিতে তাদের অধিকাংশই উপস্থিত ছিলেন না। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিস থেকে তাদের আমন্ত্রণ দেয়া হয়নি। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন লোক এবং দু একটি যুব সংগঠন ছাড়া আর কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
উপজেলার সবচেয়ে পুরনো এবং সক্রিয় নিবন্ধিত যুব সংগঠন প্রয়াসের সভাপতি বলেন, জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠান কিন্তু উপজেলার অন্যতম যুব সংগঠন প্রয়াস সহ অধিকাংশ যুব সংগঠন কে নিমন্ত্রণ দেয়া হয়নি এটা আর্চয্যজনক ব্যাপার। সরকারের একটা সফল মন্ত্রণালয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আর যুবরাই সরকারের সফলতার অংশীদার সেখানে আমাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলার অন্য একটি যুব সংগঠনের নেতা এব্যাপারে আক্ষেপ করে বলেন যুব কর্মকর্তা তাহমিনা বেগম এখানে আসার পর থেকে এই অফিসের সমস্ত কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে,তার বাজে আচরণের জন্য ।
উপজেলা সুশীল সমাজ সংগঠনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেফালী বেগম বলেন, জাতীয় যুব দিবস একটি গুরুত্বপূণ দিবস সেখানে আমাদের কাউকেই নিমন্ত্রণ করা হয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তাহমিনা বেগম বলেন, তারাগঞ্জে এবারের জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠান আমার নিজের টাকায় করছি ,কারো কাছ থেকে একটি টাকাও চাঁদা নেয়া হচ্ছে না তাই আমি সবাই কে বলিনি এজন্যই ছোট পরিসরে অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুবেল রানা বলেন, কি জন্য সবাইকে নিমন্ত্রণ দেয়া হয়নি বিষয়টি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দেখব।