মোশারফ হোসেন কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক কৃষিজাত পণ্য সোনালী আশ খ্যাত পাটের সোনালী দিনের হাতছানিতে কুমারখালী কৃষকেরা পাট চাষের দিকে ঝুঁকছেন।কৃষিজাত ফসল/পণ্য উৎপাদনের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা বেশ প্রসিদ্ধ। সেই সঙ্গে দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য , ধারক ও বাহক হিসেবে বিবেচিত সোনালী আশঁ পাট চাষ বরাবরই অতঃপর উপজেলার কৃষকেরা সর্বচ গুরুত্ব দিয়ে চাষ করে থাকেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা কম থাকলে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। সেই আলাকে বিগত কয়েক বছর ধরে বহু কৃষক পাটচাষ থেকে মুখ সরিয়ে নেই। গত বছর পাটের বাজারদর বিগত বছরের তুলনায় পাটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাহত মূল্য পেয়ে দেশের অন্যান্যদের মতো কুমারখালী উপজেলার কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পাট বিক্রি করে উচ্চ মূল্য পেয়ে বেশ লাভের মুখ দেখছেন।সেই কারণে চলতি মৌসুমে কুমারখালী উপজেলার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে কৃষকেরা পাট চাষ করেছেন বলে জানা যায়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়,৫হাজার ২৮ হেক্টর জমিতে মাঠে পাট উৎপাদন ১৫হাজার ৩শ ২১ মেট্রিক টন সম্ভবনা রয়েছে।

যা বিগত বছরের তুলনায় ৩শ ৮হেক্টর জমিতে বেশী চাষ হয়েছে। (যা বিগত বছরে পাট আবাদ হয়েছিল ৪হাজার ৯শ ৭৪ হেক্টর) উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের কৃষক করিম জানান, তিনি অধিক লাভের আশাই বারো ধান কেটে প্রায় এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করছেন। গত বার তিনি কোনো জমিতে পাট চাষ করনি বলে তিনি জানান। ও ইউনিয়নের সফল পাট চাষি আব্দুল হামিদ এবং তার ভাই নজরুল ইসলাম বিগত বছরের মতো এবারো তাদের নিজিস্ব ৩বিঘা জমিতে পাট চাষ করছেন।

গতবার ভালো দাম পেয়ে এবার আগে ভাগে সেচদিয়া জমি প্রস্থত করে পাট চাষ করেছেন। উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের সফল চাষি বজলুর রহমান জানান, গত বছর তিনি কোনো জমিতে পাট চাষ করেনি।এবার তিনি বারো ধান কেটে বিনা চাষে ২বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছেন।তার আবাত কৃত পাটের বয়স একমাস পূর্ণ হয়েছে। তার জমির পাট গাছের পাতা অনেক ভালো বলে তিনি জানান।তিনি আরো জানান, তাদের গ্রামের পশ্চিম বিল প্রায় অর্ধশতাধিককৃষক এবার বরোধান কেটে পাট চাষে করেছেন। কৃষক রাসেল উদ্দিন ও এবার বারো ধান কেটে প্রায় দুই বিঘা জমিতে পাটের চাষ করছেন।

পাটের বাজার দর সন্তুষ্ট জনক হাওয়ায় অর্থ্যাৎ কৃষকেরা মন প্রতি ৪ হাজার থেকে শুরু করে ৬হাজার ও ক্ষেত্র বিশেষ ৭হাজার টাকা পর্যন্ত বাজারদর করেছেন। যেসব কৃষক একটু দ্রুত পাট বিক্রি করেছে তারা বেশি লাভবান হয়েছে বলে জানা যায়। কৃষকেরা পাট চাষ আগ্রহী হাওয়ায় এই খাত কৃষকদের আগ্রহী করবার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ , বীজবিতরণ ও রাসানিক সার বিনা মূল্যে সংগ্রহ করেছেন। উপজেলার কৃষক পাট চাষের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

তাদের প্রত্যকের উন্নত জাতের পাট এর জন প্রতি কৃষক ১কেজি করে বীজ এবং ১২ কেজি করে তিন ধরণের রাসায়নিক সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, পাটের ভালো বাজার দর পেয়ে কৃষকেরা এবার পাট চাষে ঝুকে পড়েছেন ।

উপজেলা কৃষি অফিসারদের মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাগণ স্ব-স্ব এলাকার চাাষিদের পাট চাষ একটি লাভজনক চাষ হিসবে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি প্রায়াজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা অব্যহত রেখেছেন।