হার দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

চন্দনা ডেস্ক

বাংলাওয়াশ ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা হেরেছে ২১ রানে। তবে ম্যাচে যা হয়েছে, তার পুরো চিত্রটা তুলে ধরতে পারছে না এই হারের ব্যবধান। পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে যে কখনোই ম্যাচ জেতার মতো মেজাজে দেখা যায়নি!

পাকিস্তানের দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে খুব ভালো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে যেভাবে রান করা দরকার সেটি করতে পারেননি কোন ওপেনারই। মেহেদী মিরাজ হ্যারিস রউফের বলে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা মেরে প্রশংসা কুড়ালেও পরের ওভারেই ওয়াসিমের বলে ক্যাচ তুলে নিজের ১১ বলে ১০ রানেই আউট হন।

সাব্বিরের হতাশাজনক পারফরম্যান্স চলছেই। লেগ সাইডে একটা পুল শটে বাউন্ডারি আদায় ছাড়া সেভাবে ব্যাটে বলেই করতে পারেননি তিনি। ১৮ বলে ১৪ রান করে তিনি ফিরে যান হ্যারিস রউফের গতি না সামলাতে পেরে। এরপর লিটন দাস বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনতে না আনতেই নিজেই ছিটকে যান।

২৬ বলে ৩৫ রান করা লিটন আর কিছু সময় উইকেটে থাকতে পারলে ম্যাচের পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারতো। দেশের মাটিতে সবসময়ই দারুন পারফর্ম করা আফিফ নিউজিল্যান্ডে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননা। আজও পারেননি, ২৩ বলে ২৫ করেই দাহানির বলে আউট হন তিনি।

এরপর নুরুল হাসান সোহান এবং মোসাদ্দেক সৈকত আউট হয়ে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পরে বাংলাদেশ। সৈকত ১ বলে ০ এবং সোহান করেছেন ৯ বলে ৮ রান। শেষ দিকে ইয়াসীর আলি রাব্বির ২১ বলে ৪২ রান ব্যবধানই কমিয়েছে মাত্র। পাকিস্তানও ম্যাচটি জিতেছে ২১ রানে।

এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিং করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। বাংলাদেশ একাদশে নেই নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুতে রিজওয়ানকে সহজ রানআউট করতে পারেননি সাব্বির রহমান রুম্মান।

সেখান থেকে পাকিস্তানের ইনিংসের ভিত্তি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান, করেন ৫০ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। বাবর আজমের ২৫ বলে ২২ এবং শান মাসুদের ২২ বলে ৩১ ছাড়া বেশ ভুগতে হয়েছে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারকে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে পাকিস্তান করতে পারে ১৬৭।

তাসকিন ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ টি উইকেট। নাসুম আহমেদ ৪ ওভার বোলিং করে ২২ রান দিয়েছেন, প্রতিপক্ষের ১ টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। মেহেদী মিরাজকে বোলিং করানো হয়েছে ২ ওভার। ১২ রান দিয়ে তিনি তুলে নিয়েছেন বাবর আজমের উইকেট৷