ভাঙ্গায় গৃহবধূর লাশ লুকানোর চেষ্টা পুলিশের উদ্ধার

বিশেষ প্রতিনিধি “
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রোজিনা নামে একজন গৃহবধূর রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনার পর ওই গৃহবধূর মৃতদেহ স্বমীসহ তার পরিবারের লোকজন লুকানোর চেষ্টা করলে খবর পেয়ে গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের সরইবাড়ি গ্রামে থেকে ভাঙ্গা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে পৌরসভার কোটপাড় এলাকায় একটি ভাড়ার ফ্লাট  বাসায় গৃহবধূ রোজিনা আক্তারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তার মৃতদেহ স্বামী ও পরিবারের লোকজন গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে।

বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা ও ফ্লাটের লোকমুখে জানাজানির পর পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গৃহবধূ রোজিনার বাড়ি ও স্বামী হাফিজুর রহমানের  বাড়ি একই ইউনিয়ন তুজারপুরের সরইবাড়ি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের গিয়াসউদ্দিন ফকিরের মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানা যায়, গৃহবধু রোজিনা দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙ্গা টাউনপাড়ের  খন্দকার টাওয়ারের ৪র্থ তলায় স্বামীকে নিয়ে ভাড়া ফ্লাট বাসায় থাকতেন। শনিবার রাতে টিভি দেখা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সকালে  রুমের জানালা গলায় ফাঁস অবস্থায় পাওয়া যায় তার মৃত দেহ।
৪র্থ তলার জনৈক মহিলা ভাড়াটিয়া জানায়, সকালে শুনতে পারি অসুস্থ হয়ে রোজিনা মারা গেছে। তার এক ছেলে ১০ম ও এক মেয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে।
সূত্র জানায়  কাউকে না জানিয়ে লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসে। জানালার উচ্চতা ৭ফুট কিভাবে সে গলায় ফাঁস দিল বিষয়টি জনমনে রহস্যের সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি  আত্মহত্যার ঘটনাটি পরিকল্পিত প্রসুত বলে মনে করছেন রোজীনার পরিবার ও স্বজনেরা।
রোজিনার মা কহিনুর বেগম বলেন, আমার মেয়েকে হাফিজ প্রায়ই অমানবিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল।পারিবারিকভাবে একাধিকবার সুরাহার পরেও হাফিজের কোন পরিবর্তন হয়নি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন আমার মেয়েকে হত্যা করে জানালার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।  তার মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমি আমার মেয়ের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে জড়িত অপরাধকারীর শাস্তি দাবি করছি।
ভাঙ্গা থানার এস,আই আলমগীর জানান, গৃহবধূ মারা যাওয়ার পর তার লাশ তড়িঘড়ি করে গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ  সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, অপমৃত্যুর খবর শুনে লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে এনে সুরতাহাল রিপোর্ট তৈরি করার পর ময়নাতদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।